অবশেষে আগামী বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের বৈঠক বসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সন্ধ্যা সাতটায় এ বৈঠক ডেকেছেন।
বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। আজ সোমবার ১৪ দলের শরিকদের বৈঠকের বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ১৪ দলের আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক হয়নি। গত নির্বাচনে ১৪–দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে ছয়টি আসনে সমঝোতা করে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কেন্দ্রীয় নেতা এ কে এম রেজাউল করিম জয়ী হয়েছেন।
অন্য সবাই হেরে গেছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে শরিকদের ১৩টি আসনে ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে সাতটিতে জয়ী হন তাঁরা। পরে উপনির্বাচনে আরেকটি আসন পায় ১৪ দলের শরিকেরা। গত সংসদে ১৪ দলের শরিকদের দুজন নারী সংসদ সদস্যও ছিলেন। এবার সংরক্ষিত নারী সদস্য একজন।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের শরিকেরা তাদের ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তা আমলে নেয়নি আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে জোটের মধ্যে একধরনের তিক্ততা তৈরি হয়। এর পর থেকেই ১৪–দলীয় জোটের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে জোটের প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ জানিয়ে আসছিল শরিকেরা। সরকার গঠনের প্রায় সাড়ে চার মাস পর জোটের শরিকদের নিয়ে বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ ও ১৪–দলীয় জোটের শরিকদের সূত্র বলছে, এটি মূলত জোটের ভেতর থাকা অস্বস্তি দূর করার বৈঠক। কারণ, শরিকেরা ভোটের ফলাফলে অখুশি। ফলে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যসহ নানা ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচি নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। ইতিমধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন কোনো কোনো শরিক দলের নেতারা। এমন প্রেক্ষাপটে শরিকদের শান্ত রাখতে আওয়ামী লীগ বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছে।
0 comments:
Post a Comment