ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে আজ মঙ্গলবার। ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি থাকলেও এই ধাপে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সংশয় থাকছে। এর আগে ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট পড়ার হার ছিল ৩৬ শতাংশ, যা গত দেড় দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন ভোটের হার।
এবার ৪৬১টি উপজেলায় চার ধাপে নির্বাচন হচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন বর্জন করেছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে প্রার্থী দেয়নি। প্রায় সব উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। কিছু উপজেলায় বিএনপির নেতারাও দলীয় নির্দেশ অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ ওয়াহিদুজ্জামান ইসিতে লিখিত অভিযোগ দেন, সেখানকার দুজন পুলিশ কর্মকর্তা তাঁর তিনজন কর্মীর বাসায় গিয়ে হুমকি দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার ফকিরহাট উপজেলার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম এবং বাগেরহাট জেলার ডিবির ওসি স্বপন রায়কে সরিয়ে নতুন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেয় ইসি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ভোটের দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, প্রার্থীর জনপ্রিয়তা কেমন, এসবের ওপর ভোটার উপস্থিতি নির্ভর করবে। ভোটের হার বেশি হলে ইসি খুশি, কিন্তু না হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
দ্বিতীয় ধাপে আজ ভোট হচ্ছে ১৫৬টি উপজেলায়। এর মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে ২৪টি উপজেলায়। দ্বিতীয় ধাপে মোট প্রার্থী আছেন ১ হাজার ৮২৪ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী আছেন ৬০৩ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৬৯৩ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী আছেন ৫২৮ জন।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাতটি উপজেলায়, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আটটি উপজেলায় এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতটি উপজেলায় একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের রাউজান ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় ভোট গ্রহণের দরকার হচ্ছে না। এ দুই উপজেলার সব পদেই একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।..
0 comments:
Post a Comment