বৃহস্পতিবার (২৩ মে) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি প্রস্তাবটির বিষয়টি প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন সাদা চামড়ার লোকের কাছ থেকে প্রস্তাব এসেছিল।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য বিএনপি ষড়যন্ত্র করেছে।
তিনি বলেন, ‘তবে তারা (বিএনপি) সেটি করত। আমি যদি কোনো দেশকে বাংলাদেশে বিমান ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দিই, তাহলে আমার কোনো সমস্যা হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, তিনি ২০০১ সালে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে বাংলাদেশের গ্যাস বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তখন তিনি একই প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বলেছি আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হয়েছি এবং আমি দেশের অংশ ভাড়া দিয়ে বা অন্য কোনো দেশের হাতে তুলে দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাই না। আমার ক্ষমতার দরকার নেই।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, জনগণ যদি তাকে ক্ষমতায় চায়, তাহলে তিনি ক্ষমতায় আসবেন। আর যদি না চায়, তাহলে আসবেন না।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি এটা বলছি কারণ সবার জানা উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দেশে ও বিদেশে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। ষড়যন্ত্র এখনো চলছে বলে জানান তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশকে আরেকটি পূর্ব তিমুরে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, ‘পূর্ব তিমুরের মতো... তারা বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটিসহ বাংলাদেশ (চট্টগ্রাম) এবং মিয়ানমারের একটি অংশ নিয়ে একটি খ্রিস্টান দেশ তৈরি করবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, প্রাচীনকাল থেকেই বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের মধ্য দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য চলে আসছে।
তিনি বলেন, ‘অনেকের চোখ এই জায়গাটার দিকে। এখানে কোনো বিরোধ নেই, কোনো বিরোধ নেই। আমি এটা হতে দেব না। এটাও আমার একটা অপরাধ (তাদের চোখে)।’
প্রস্তাবিত বিমান ঘাঁটি থেকে কোন দেশকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এটি মনে হতে পারে, তাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র একটি দেশ, কিন্তু তা নয়। আমি জানি তারা আর কোথায় যেতে চায়।’
তিনি বলেন, এ কারণে আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় সমস্যায় থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আরো ঝামেলা হবে। কিন্তু এটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। দেশের মানুষই আমাদের শক্তি। জনগণ আমাদের সাথে থাকলে আমরা ক্ষমতায় থাকব।
0 comments:
Post a Comment